নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় গোয়ালঘর থেকে আগুন লেগে পুড়লো বিধবার ঘরসহ ৩টি ঘর, ৮টি গরু। এতে বিধবার সহায় সম্বল পুড়ে শিশু সন্তান নিয়ে পথে বসেছেন। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবী। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ কিরঞ্চি গ্রামের বিধবা মিনতি তালুকদার ও আদ্যনাথ তালুকদারের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আদ্যনাথ তালুকদার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোয়ালঘরে আগুন জ্বলতে দেখি। মুহুর্তে আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গোয়াল ঘর থেকে ৩টি গরু বের করতে পারেন। ততক্ষণে চৌচালা গোয়াল ঘর ও একটি বড় আকারের দুচালা ঘর ভস্মিভূত হয়ে যায় এবং গোয়াল ঘরে থাকা ৮টি গরু পুড়ে মারা যায়। এতে আমার ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনন্ত তালুকদারের বিধবা স্ত্রী মিনতি তালুকদার কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামী শিক্ষক ছিলেন। জীবদ্দশায় একটি টিনকাঠের চৌচালা ঘরে বসবাস করছিলাম। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান নিয়ে ঘরে বসবাস করছিলাম। রাতে গভীর ঘুমে ছিলাম। ঘুম ভেঙে দেখি আগুন। কোন রকমে ছেলেকে নিয়ে বের হতে পেড়েছি। এতে ঘরসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে আরও জানান, পড়নের কাপড় ছাড়া সব পুড়ে গেছে। আমার পুড়া কপাল, আগুনে পুড়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছি। সব হারিয়ে ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় দাড়ানো ছাড়া আর কি বা করার আছে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর সকালে যন্ত্রাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মনিরুজ্জামান তুহিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষত্রিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অবহিত আছেন জানিয়ে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নেয়া হবে।