নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চালনাই ইটভাটায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার উদ্যেশে দোহার-নবাবগঞ্জের তরুন প্রজন্মের উদ্যোগে জাতীয় সংগিত ও কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যেমে “বর্ণমালা বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে।
১ লা ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝিরকান্দার চালনাই তিনটি ইটভাটায় বিদ্যালয়ের প্রধান শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাংবাদিক জাহিদুর রহমান। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: হরগোবিদ্র সরকার অনুপ।
প্রতিষ্ঠাকালীর সদস্য মোঃ জামান এর বক্ত্যবে বলেন, আজ থেকে প্রায় দীর্ঘ ৭ বছর পূর্বে ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ থেকে বর্ণমালা বিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হয়।প্রায় ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময় আমাদের দেশ পেয়েছি তোবে আজকে প্রায় দেশের ৫৩ বছর হতে চলেছে কিন্তু দেশের বিটার একটি অংশ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।এত বড় একটি অংশ অন্ধ্যকারে রেখে আমরা যদি চিন্তা করি এগিয়া যাবো আসলেই তা কখনোই সম্ভব নয়।দেশটা তখনি এগিয়ে যাবে যখন দেশের সবাই এক সাথে এগিয়ে যাবে।আমাদের বাংলাদেশে প্রায় লক্ষাধীক ইট ভাটা আছে প্রতিটি ভাটাতে যদি মিনিমাম ২০ জন করে শিশু বাচ্চা থাকে তোবে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ শিশু বাচ্চা আছে। যারা পড়াশোনার বাইছে আছে তারা সুযোগ পায় না প্রাতিষ্ঠানীক শিক্ষার কারণ হচ্ছে তাদের কাজের জন্য ইট ভাটার কাজ শুরু হয় শীত মৌসুমে এবং বর্ষা মৌসুমের আগ পর্যন্ত তারা কাজ হকে অথাৎ সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল কাজ করে। কাজ শেষে তাদের স্থায়ী ঠিকানায় চলে যায় তারা ইট ভাটার কাজের সময় ভাসমান জীবন যাপন করে।বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানীক শিক্ষার সময় কাল হলো জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। তারা পারে না কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ও সম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে, এর জন্য শিশু বাচ্চারা সাধরণ যে অক্ষর জ্ঞান তা থেকে তারা দূরে আছে। এই বিষয়গুলো লক্ষ করার পরে আমাদের যখন সবার কাছে বিষয়টা সিয়ার করি দোহার-নবাবগঞ্জের তরুণ প্রজন্ম আগ্রহের সাথে আমাদের সারা দেয় ও বর্ণমালা প্রতিষ্ঠান শুরু হয়ে আস্তে আস্তে ৭ বছর যাবত চলমান রয়েছে। আমরা তো সারা বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করতে পারবো না, আমরা চাই আমাদের মতোন করে বিভিন্ন স্থানের তরুণ প্রজন্ম মাঝে ছড়িয়ে দিতে যাতে তরুণ প্রজন্ম আগ্রহের সাথে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও ২০/৩০ লক্ষ বাচ্চাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক বাচ্চা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। বর্ণমালা বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সমস্যরা কিছু সংখ্যক আছে কিছু সংখ্যক এখানে নেই তাদের মধ্যে অন্যতম অবিশেস পাল অন্তু, আমি (মোঃ জামান), মোঃ মোয়াজ সেই শুরু থেকেই ছিলো বর্ণমালার সাথে মোয়াজকে যখন যে কাজ বলা হয়েছে নিরদিধায় কাজ গুলো নিজ দায়িত্বে করেছেন, বর্ণমালা বিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলো মোঃ শাহ আলম, মোঃ নয়ন, মনি আক্তার, বর্তমানে আল রাজিব, মোঃ মুন্না, তানিয়া ও সুমি রয়েছে।
পদ্মা কলেজের প্রভাষক বলেন, আমরা যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত একটি অবস্থায় তৈরি হাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে দেখতে চায় না।সমাজের ভালো কাজ করতে পারে ও নেতৃত্বের পর্যায়ে আসতে পারে তাদের মধ্যে থেকে, আমরা সবাই মিলে কাজ করলে সমাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। আল্লাহ তাআলাকে খুসি করার সাথে সাথে শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা মাধ্যমে ওদের এতটি অবস্থান তৈরি হলো। আর এর জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও শিক্ষকদের সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছ। এতে করে প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও শিক্ষকরা কোন খারাপ কাজ না করে ভালো কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখছে।
উদ্ধোধক ডাঃ হরগোবিন্দ সরকার অনুপ বলেন, আমরা জানি শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিকর।অত্র প্রতিষ্ঠানের সব চেয়ে ভালো ব্যাপার হলো ৭ম আসোর আমরা অনেক উদ্যোক দেখি যেটা সেটা বেশি দিন টিকে থাকে না, ধরে রাখার ব্যাপার টা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ এ ব্যাপারটা খুব ভালো লাগবো আজকে এটা এখনো চলমান আছে।
প্রধান অতিথি জাহিদুর রহমান সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক বলেন, আজকে ১লা ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতার মাস। আপনাদের মহত কাজ দেখে আমি চিন্তা করছি যে আমাদের এলাকায় এমন একটি মডেল চালু করা যায় কিনা ফিল করছি। আমরা আজকে যাদের আমরা মূল্যায়ন করছি না, তাদের মাধ্যেই কোন এক জন আগামি দিনের নেতৃত্ব দিবে। বর্ণমালা বিদ্যালয়ে স্থায়ী একটি রূপ নিতে পারে এটার আলো যেনো বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থায়নে রূপ নিতে পারে আমরা ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত যে জাতি তত বেশি উন্নত। ঢাকাতেও বিভিন্ন সংস্থা আছে তোবে তাদের মধ্যে থেকে আপনাদেরটা ভিন্ন আমাদের ৩ মাসের একটি সময়ানুবর্তিতার সময় আপনাদের বিষয়াটা দারুন ও মহত একটি একটি চিন্তা ভাবনা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন শিশুদের মাধে বই, খাতা, পেনসিল ও স্কুল ব্যগ বিতরণ করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
এমন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য রাজিব শরীফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মা কলেজের প্রভাষক মোঃ আলমগীর হোসেন, মাসুদ রানা, বর্ণমালা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ জামান, মোঃ শাহ আলম, সোহাগ হোসাইন হান্নান, মো: সুমন, আফরিন শশী, নূরে জান্নাত লোপা, মাকসুমুল মুকিম, আল আমিন বর্ণমালা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আল রাজিব, মোঃ মুন্না, তানিয়া ও সুমি প্রমুখ।