নিজস্ব প্রতিনিধি.
নিখোঁজ অটোরিকশাচালক শেখ শাহ আলমের (৬৫) লাশ উদ্ধারের চার দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বিচারের দাবিতে থানায় থানায় ঘুরছেন নিহতের স্বজনরা। অবশেষে সংবাদিকদের দারস্থ হলো ওই পরিবার। বুধবার বিকালে নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এসে এ বিষয়ে জানান নিহত অটোরিকশাচালকের ছোট মেয়ে লাকি আক্তার।
নিহত শেখ শাহ আলম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা পশ্চিম গ্রামের মৃত শেখ হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। রোববার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল তালতলা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২ এপ্রিল সকালে অটোরিকশা নিয়ে নবাবগঞ্জের বড় বাহ্রার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহ আলম। পরিবারের সদস্যরা সন্ধান না পেয়ে পরদিন নবাবগঞ্জ থানায় জিডি করেন।
নিহত শেখ শাহ আলমের মেয়ে লাকি আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বাবার হত্যার বিচার দাবিতে নবাবগঞ্জ ও সিরাজদিখান থানায় বারবার ধরনা দিয়েছি। নবাবগঞ্জ থানা থেকে পাঠানো হয় সিরাজদিখান থানায় আবার সিরাজদিখান থানা থেকে পাঠানো হচ্ছে নবাবগঞ্জ থানায়। এই নিয়ে গত ৪ দিনেও মামলা নেয়নি কোনো থানা পুলিশ। তাহলে কি আমার বাবা হত্যার বিচার পাব না?
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল তালতলা এলাকার প্রধান সড়কের পাশ থেকে ওই থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদনও করেছেন তারা। কাজেই তারাই মামলা নেবে। এদিকে সিরাজদিখান থানার ওসি মো. শাহজালাল মামুন বলেন, অটোরিকশাচালক শেখ শাহ আলম নিখোঁজের পরের দিন নবাবগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়েছিল। তার বাসাও নবাবগঞ্জে এবং তার বাসা থেকে নবাবগঞ্জ থানাও কাছে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, নবাবগঞ্জ থানাই মামলা করা তাদের জন্য ভালো। তারপরেও যদি নিহতের পরিবার আমার থানায় আসে তাহলে মামলা নেব।