সিনিয়র প্রতিনিধি.
গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার মো. শহীদুল ইসলাম। এখন সে টাকা আদায়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গ্রাহক আলা উদ্দিন মোল্লা। এ ঘটনা ঘটে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার দোহারের জয়পাড়া শাখায়। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। হয়তোবা নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজার নিজেই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ভুক্তভোগী বলছেন, এটা জালিয়াতি। ব্যাংকে যে টাকা জমা দিয়েছি, তার চেকসহ বিভিন্ন প্রমাণ আমার কাছে আছে। ব্যাংকের ম্যানেজার টাকা মেরে পালিয়ে গেলে সে দায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। সুতরাং ব্যাংক আমার পুরো টাকা ফেরত দেবে।
প্রসঙ্গত, শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম চলতি বছরের ৯ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে থাকার পর অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগদান করেননি। ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে তার অনুপস্থিতির জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা সত্ত্বেও কর্মস্থলে যোগদান করেননি তিনি। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এমন অনুপস্থিতি এবং উল্লিখিত জাল মানি রিসিট ছাড়াও নানাবিধ আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে শহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। হয়তোবা নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজার নিজেই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। যে টাকা ব্যাংক পায়নি, তা কীভাবে ব্যাংক ফেরত দেবে? তিনি আরও বলেন, শহীদুল ইসলাম পালিয়ে গেলেও তার বাবা, ভগ্নীপতি দেশে আছেন। ইতোমধ্যে তারা আরও দুই পাওনাদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাদের থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা যেতে পারে। এ প্রস্তাব ভুক্তভোগীকে দিলে তিনি সাড়া দেননি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আলা উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জয়পাড়া শাখায় চেকের মাধ্যমে টাকা জমা রেখেছি। অন্য কারও কাছে টাকা চাইতে যাব কেন? ব্যাংকে টাকা রেখেছি, ব্যাংক টাকা দেবে।