নিজস্ব প্রতিনিধি.
ঢাকার দোহারে ডাকাতির ঘটনার ৭দিন পরে দুই ডাকাতসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দোহার থানা পুলিশ। এরমধ্যে এক জন স্বর্ণক্রেতা ও ডাকাতির স্বর্ণ বিক্রেতা দুই নারী রয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোরে পর্যন্ত দোহার ও ফুরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা হতে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ এপ্রিল পশ্চিম সুতারপাড়া ব্যবসায়ী শাহজাহানের বাড়িতে ও ১৬ এপ্রিল নারিশা পশ্চিমচর কানন গাজীর বাড়িতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়। ওই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হলে দোহার থানা পুলিশ বিভিন্ন সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পেশাদার ডাকাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার খোরশেদ মাতব্বরের ছেলে ওমর আলী মাতব্ব(৩৫) ও একই এলাকার সরোয়ার মাতব্বরের ছেলে আকরাম মাতব্বর(৪৩)কে আটক করে।
পরে তাঁদের দেয়া তথ্যমতে স্বর্ণ বিক্রির সাথে জড়িত ওমর মাতব্বরের মা কমেলা বেগম(৬৫) ও স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৩৫)কে আটক করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে লুণ্টিত স্বর্ণ ক্রেতা ফরিদপুরের নগরকান্দার বিনোকদিয়া গ্রাম হতে স্বর্ণকার গোপাল পালকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাঁদের কাছ থেকে পৌণে এক ভরি স্বর্ণ ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল ১১ টায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ডাকাত। ডাকাত ওমর আলী মাতব্বরের নামে দোহার থানায় বিভিন্ন সময় ডাকাতির ঘটনায় ৬টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
দোহার থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, দোহারের ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকি ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এরা পেশাদার ডাকাত। দোহারের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। এক মাস আগে ওমর আলী ডাাকাত জেল থেকে বের হয়েই এ ঘটনা ঘটায়। দোহারের নারিশা, ইকরাশি ও নবাবগঞ্জের জামশা এলাকায় বাসা নিয়ে থাকতো।